- মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আপনাকে স্বাগতম
মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইতিহাস
মানুষের দেহে আলো জ্বালতে ও দক্ষ মানুষ গড়ে তুলে পৃথিবীতে আধুনিক ভাবে টিকে থাকার অভিপ্রায় নিয়ে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলায় খরস্রোতা বেত্রাবতীর তীরে ঐতিহ্যবাহী মাছখোলা আমে মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক মহৎ উদ্দেশ্যে ১৯৯২ সালে এগারো ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় মাস্টার জনাব মো. হারুনূর রশীদ এর আহবানে শতশত লোক জমায়েত হয় বর্তমান স্কুল প্রাঙ্গনের ভূ-অভ্যন্তরের মিটিং-এ। সে দিনটি ছিল শুক্রবার। সভায় সভাপতিত্ব করেন অঞ্চলের বর্ষীয়ান ব্যক্তিত্ব জনাব মো. আব্দুর রশীদ সরদার। সভায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে হাজির ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য সাতক্ষীরার কৃতিসন্তান প্রফেসর ড. গোলাম রহমান সাহেব। প্রথম সভায় উপস্থিতি জনতার অনেকের হস্তাক্ষর নেওয়া সম্ভব না হলেও পবিত্র হাতের ছোঁয়া লাগে একশত চৌত্রিশ জনের। স্কুল পরিচালনার জন্য জনাব কবীরউদ্দীন আহম্মদের প্রস্তাবে একুশ সদস্য বিশিষ্ট এক বিশেষ কমিটি গঠণ করা হয়। উক্ত কমিটির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন জনাব প্রফেসর ড. গোলাম রহমান সাহেব ও জনাব মো. আব্দুর রশীদ সরদার এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন জনাব মো. রবিউল ইসলাম। সভাপতি মহোদয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিশ হাজার টাকা দান করেন, যার মধ্যে এক হাজার ক্যাশ টাকা ও উনিশ হাজার টাকার চেক ছিল। সভার শেষদিকে জনাব মো. হারুনূর রশীদের এক প্রস্তাবে সভাকক্ষ জনাব প্রফেসর ড. গোলাম রহমানকে আজীবন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মর্যাদা দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন। পরবর্তিতে ২০-১২-১৯৯২ তারিখের এক সভায় বিধিমোতাবেক নয় সদস্য বিশিষ্ট অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করে, যার সভাপতি নির্বাচিত হন জনাব প্রফেসর ড. গোলাম রহমান সাহেব, এবং দাতা সদস্য মনোনীত হন জনাব মো. কবীরউদ্দীন আহম্মদ ও জনাব মো. মোদাচ্ছের রহমান সাহেব । শিক্ষাদানের জন্য ৩১-১২-১৯৯২ তারিখে ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয় জনাবা মনিরা বেগম, এম এস সি কে। ০১-০১-১৯৯৩ তারিখ হতে যথারীতি পাঠদান শুরু হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২২২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়, যার মধ্যে ছাত্রী ৯৪ জন। উল্লেখকরা যায় ১৯৭৩ সালে এ স্কুলের গোড়াপত্তন হয়, কিন্তু প্রতিকুল অবস্থায় স্কুলটি বেশিদিন টিকে থাকতে পারিনি। স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে অঞ্চলের অনেকে জমি, অর্থ, শ্রম, বাঁশ-খুটি ও গাছ দান করেছেন। প্রথম জমি দানকারী জনাবা মোছা. জবেদা খাতুন, স্বামী মো. কবীর উদ্দীন আহম্মদ, জনাব মো. আব্দুস সোবহান, জনাব মো. আব্দুল হামিদ ও জনাব মো. আব্দুর রব সরদার। পরবর্তিতে আরো অনেকে জমি দান করেন, বর্তমানে মোট জমির পরিমাণ ০১ একর ৫৫ শতক। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালে স্বীকৃতি লাভ করে ২০০০ সালে এম পিও ভুক্ত হয়। স্কুলে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও কম্পিউটার শিক্ষা শাখায় প্রায় ৩০০ শত ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করে। বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছে। এস এস সি ও জে এস সি পরীক্ষার ফলাফল গড় ৯২ শতাংশ। কৃতি শিক্ষার্থীদেও প্রতিষ্ঠানের ‘প্রফেসর ড. গোলাম রহমান কল্যাণ ফান্ড থেকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। তাছাড়া রাখী- বাবু ফাউন্ডেশন ও মরহুম হাবিবুর রহমান কল্যাণ ফান্ড থেকে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরও বিশেষ বৃত্তি প্রদান করা হয়। স্কুলের একপাশে প্রাচীর বেষ্টিত। স্কুলটিতে লাইব্রেরি খোলা হয়েছে, যথেষ্ট বইও আছে। এখানে শহীদমিনার নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষক, ছাত্র ও ছাত্রীদের পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা আছে, পানি সরবরাহ ভাল কিন্তু পরিতাপের বিষয় আর্সেনিকের প্রভাব আছে। বিদ্যালয়টি সাতক্ষীরা টু মাছখোলা রোডের পাশে অত্যান্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত, দক্ষিণ দিকে দিগন্ত জোড়া খোলা ফসলের মাঠ। স্কুলের ২০০ গজ দূরে নব্বই এর দশক পর্যন্ত মাছখোলা বাজার সংলগ্ন একটি লঞ্চঘাট ছিল, যেখানে প্রচুর মাছ কেনাবেচা হতো। এ কারণে বহুপূর্বে গ্রামের নামকরণ হয়তো হয়েছিল মাছখোলা। সে কারণে গ্রামের নামের সাথে সঙ্গতি রেখে স্কুলের নামকরণ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরা পৌরসভার কোল ঘেঁষে পূর্বপাশে আজও দাঁড়িয়ে আছে। অঞ্চলের বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের শুভদৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠানটি দিনদিন উন্নতি লাভ করে চলেছে।
- সভাপতির বাণী
বিস্তারিত
- Providing quality education and making good citizens is the motto of this educational institution.
বিস্তারিত
- গুরুত্বপূর্ণ লিংক
- অফিসিয়াল ফেইসবুক
-
https://www.facebook.com/profile.php?id=100080921149963&mibextid=ZbWKwL
- ভিডিও https://youtu.be/k3Xg0vozd4g?si=3Rx0KQqUR0JGOD5R